কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম
শাসক দলের রক্তচক্ষু কে উপেক্ষা করে আজ সারা দেশে ভারত বন্ধ পালিত হচ্ছে। কৃষক ক্ষেত মজদুর ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও একশত দিনের কাজ অধিকার নিয়ে এবং বেকার ও যুবকদের চাকরির দাবিতে এই বন্ধের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। এদিন সকাল থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই বন্ধের কিছুটা প্রভাব ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে কেরলের বিভিন্ন যায়গায় বন্ধ পালিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য ও মহারাষ্ট্র ও বিহার ও উড়িষ্যার বিভিন্ন যায়গায় থেকে বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। তবে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন যায়গায় বন্ধের সমর্থন কারীদের সাথে শাসক দলের নেতা ও কর্মীদের ঝামেলা হয়। শিলিগুড়ি র চা বাগান এলাকায় এবং আসানসোল ও দূর্গাপুর শিল্প বাণিজ্য এলাকায় বন্ধ সমর্থনকারীদের সাথে সরকার পক্ষের বিবাদ সৃষ্টি হয়। তবে বহু শিল্প বাণিজ্য এলাকায় বন্ধ পালিত হয়। এদিন কলকাতার গড়িয়া 8,বি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বন্ধ সমর্থনকারীদের সাথে তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীদের ঝামেলা হয়।পরে পুলিশ বাহিনী গিয়ে তা সামাল দেয়। গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি থানা এলাকায় উঠতি তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা বন্ধের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে দোকান পাট খুলে রাখার আবেদন করেন। কিন্তু আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি বাজার এলাকায় দোকান পাট বন্ধ ছিল ও কোথাও তেমন বন্ধের সমর্থন কারীদের দেখা যায় নি। এদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্ধ পালিত হয়। উস্তি বাজার ও বানেশ্বর পুর বাজার থেকে শুরু করে জয়নগর এলাকায় কিছু যায়গায় বন্ধ এর প্রভাব ফেলেছে। তবে রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ইস্কুল কলেজ খোলা ছিল। তবে হাজিরা ছিল কম। আজ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও প্রকাশ করাত এবং বামফ্রন্টের নেতা শ্রী সুজন চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বামফ্রন্টের নেতা শাহনাজ মোকামী বন্ধ এর জন্য সাধারণ মানুষ ও দলের নেতা ও কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।